যে কারণে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ

খুব বেশি দেরী নেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বিক্রি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তবে এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু নতুনত্বও দেখা যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে অঘটনাও কিছু ঘটে চলেছে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছে পুলিশ।

এদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় নয়াপল্টনে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুঁড়ছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের শোডাউনে দুই কর্মীর ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করার পরই সংঘর্ষ শুরু হয়। নেতাকর্মীরা পুলিশকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। পুলিশও তাদের পাল্টা ধাওয়া করে লাঠিপেটা করে। নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিও ছুঁড়ে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (১২ নভেম্বর) থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে। গত দুদিন মনোনয়নপত্র নিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এতে করে বিএনপি অফিসের সামনে ও তার আশপাশের এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেই সকাল থেকেই দেখা যায় পুলিশের ব্যারিকেড। ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।

সরেজমিন দেখা যায়, সকালে নেতাকর্মীদের আসার আগে থেকেই পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। নেতাকর্মীদের ব্যারিকেডের ভিতরে থাকতে বলা হচ্ছে। খন্ড খন্ড মিছিলকে বিএনপি অফিসের ভিতর ও তার সামনের অল্প স্থানে থাকতে বলা হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে মনোনয়নপত্র কিনতে আসা নেতাকর্মীরা।

পাবনা থেকে মনোনয়নপত্র কিনতে আসা বিএনপির কর্মী শাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘অসংখ্য নেতাকর্মী আসায় নেতাকর্মীদের অফিসে উপচে পড়া ভিড়। অফিসের ভিতরে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। এজন্য একটু বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও পুলিশের বাধা। সামনেও নেতাকর্মীদের ভিড় থাকায় এখানেও দাঁড়ানো যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির সময় পুরো ধানমন্ডির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতেই দিচ্ছে না। তাহলে কিভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো?’